নরসিংদীর মনোহরদীতে জামায়াত নেতা আব্দুর রহমানের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামি।
মঙ্গলবার(১৫ এপ্রিল) সকালে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামি নরসিংদী জেলার সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মনোহরদী দক্ষিণের আমির মাওলানা ছানাউল্লাহ, মনোহরদী উত্তরের আমির মাওলানা ইকবাল হোসাইন, মনোহরদী দক্ষিণের সেক্রেটারি তাজুল ইসলাম শাহীন,পৌর আমির আসাদুজ্জামান নূর, অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,মাওলানা ইকবাল হোসাইন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মিছিল শেষে মনোহরদী পোস্ট অফিস মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা
বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ১। সরদার আছমত আলী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন মুরাদ, | ২। মনোহরদী সরকারি কলেজের শিক্ষক খলিলুর রহমান এবং ৩। মনোহরদী সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. লুতফুর রহমান। তাদের সাথে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জন,সেই সাথে প্রশাসনের ও থানা ওসি মহোদয় কে বারবার বলতেছি যে এই এসআই অথবা তার সাথে যারা সংযুক্ত ছিল আসামিকে না পেয়ে আসামীর পিতাকে ধরে এনেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে, তার পিছনে যারা নির্দেশদাতা, গতকাল মনোহরদী থানা পুলিশ একটি আসামী ধরাকে কেন্দ্র করে কাচিকাটা ইউনিয়নের জামায়াতের সাবেক সভাপতি, বর্তমান কাচিকাটা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারির পিতা মাওলান আব্দুর রহমান কে ধরে নিয়ে আসে। এর কিছু পরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। পৃথিবীর কোন আইনে আছে একজনের আপরাধে আরেক জনকে ধরার। আমরা এর বিচার চাই। যে পুলিশ এমন অপকর্ম করেছে তাদের তদন্ত সাপেক্ষে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তাকে প্রত্যাহার করতে হবে। এসএসআই ইমামুলের শিঘ্রই বহিষ্কার দাবি জানাচ্ছি। এবং প্রশাসনের যত লোকজন আছেন তারা সবাই এর সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়, তার পিছনে যারা নির্দেশদাতা,যারা কলকাঠি নাড়ছে, শান্তিপ্রিয় নিরিহ জামায়াতকে যারা উস্কানি দিয়ে অশান্ত করার চেষ্টা করছে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মূখীন করতে হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে মনোহরদী থানার এএসআই ইমামুলের নেতৃত্বাধীন ফোর্স জামায়াত নেতা নিহত আব্দুর রহমানের ছেলে মাহফুজকে একটি মামলায় ধরতে বাড়িতে যায়। বাড়িতে মাহফুজকে না পেয়ে গাড়িতে করে তার বাবা আব্দুর রহমানকে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসে। এবং তার ছেলেকে ধরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। উপরোক্তা আসামিদের আগ্রাসী আক্রমণে এবং মনার্জি থানায় এসআই ইমামুলের নেতৃত্ব দিন আব্দুর রহমানকে জবরদস্তি বল প্রয়োগ করে এবং টরচার করার কারণে এক পর্যায়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হৃদরোগে আক্রান্ত আব্দুর রহমান অসুস্থতা অনুভব করলে বাড়িতে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে বুকের ব্যাথা বাড়তে থাকলে চিকিৎসার জন্য মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে বলে নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় একই দিনে নিহতের ছেলে আতিকুর রহমান ফাহিম বাংলাদেশ জামাত ইসলাম কাছে কাঁটা ইউনিয়ন সেক্রেটারি, পঞ্চাশ কোর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি নিয়োগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্ছিত করার ভিডিও ফুটে জ ও বিভিন্ন স্থিরচিত্র ,সুপার লাঞ্ছিত হওয়ার ভিডিও এবং মামলার কাগজ, ফেসবুকে দেওয়ার সূত্র ধরে, আতিকুর রহমান ফাহিম সভাপতি প্রার্থী হওয়ার কারণে, ওনার দোকান মনহরদী পৌরসভা বাইপাস রোড ২ নং আসামি খলিলুর রহমান উরুফে খাম্বা খলিল এর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের সন্ত্রাসী। মনোহরদী বাইপাস রোডে আতিকুর রহমান আতিক এর দোকান ভাংচুর করে এবং আতিককে বেধড়ক মারপিট করে সেই জন্য বাংলাদেশ জামাত ইসলামের পক্ষ থেকে উপরোক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত অন্যান্য আসামীদের দাবি করছে।এবিষয়ে, নিহতের ছেলে, আতিকুর রহমান(ফাহিম)জানান, আমার বাবা অসুস্থ মানুষ উনাকে পুলিশ নিয়ে গেছে। অপরাধ থাকলে আমার ভাইয়ের থাকতে পারে। আমার বাবার কোন অপরাধ ছিলনা। নিরপরাধ কোন মানুষকে যেন এভাবে নিয়ে যাওয়া না হয়।
মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আব্দুল জাব্বার বলেন, আমার এএসআই গিয়েছিল ওয়ারেন্ট ধরতে। বাবাকে নিয়ে আসা হয়েছিল ছেলের বাসা চিনিয়ে দিতে। বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী নরসিংদী জেলার সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেন বিশ্বের বুকে কোথাও এমন রেকর্ড নেই যেখানে আসামিকে না পেয়ে আসামের বাবাকে ধরে আনতে হবে তাই আমরা বাংলাদেশ জামাত ইসলামের পক্ষ থেকে অতি শীঘ্রই আসামিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে তারা আরো জানান অতিথি শীঘ্রই আসামিদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি না দিলে কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম মনোহরদী শাখা