কথায় বলে চোখ হল আমাদের মনের আয়না। মনের মধ্যে যা কিছু লুকিয়ে থাকে তা সহজেই প্রতিফলিত হয় চোখে। আর এই চোখের বিভিন্ন লক্ষণই কিন্তু বলে দিতে পারে যে আপনি কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত কিনা। আর তাই চোখ দেখে চিকিৎসা শুরু করলে হয়তো শারীরিক জটিলতা কিছুটা হলেও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
চোখে ঝাপসা দেখলে, নিয়মিত ভাবে চোখ জ্বালা করলে কিন্তু মোটেই হালকা ভাবে নেবেন না। বরং সতর্ক হন। একটা চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা খুবই সাধারণ সমস্যা। কোনও কারণে একটি চোখে একটু ঝাপসা দৃষ্টি থাকতেই পারে। কিন্তু দিনের পর দিন এই সমস্যা চলতে থাকলে তা কিন্তু মোটেই ভাল নয়। আর এই সমস্যা হল ডায়াবেটিসের লক্ষণ। নিয়মিত ভাবে রক্ত শর্করা বাড়তে থাকলে রক্তনালীতে চাপ পড়ে, যে কারণে চোখের পিছনে রক্তের দাগ দেখা দেয়। চোখের মধ্যে রক্তক্ষরণ মানে রক্ত শর্করা উচ্চ অবস্থায় রয়েছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন এবং চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এই সমস্যা ফেলে রাখলে কিন্তু চোখই নষ্ট হয়ে যায়।
চোখের মধ্যে দিয়ে কিন্তু স্তন ক্যান্সারের লক্ষণও প্রকাশ পায়। ক্যান্সার কোশগুলি যখন শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে তখনই দেখা দেয় এই সমস্যা। চোখের মনির মধ্যে অস্বাভাবিক ক্ষত, ঝাপসা দৃষ্টি, চোখে ব্যথা বা চোখের মধ্যে যদি মনে হয় কিছু ভাসছে তাহলে এখনই চিকিৎসকের কাছে যান।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকলেও কিন্তু তা জানান দেয় আমাদের চোখ। চোখের চারপাশে নীল বলয় তৈরি হয়। কারও ক্ষেত্রে তা সাদা বা ধূসর রঙেরও হতে পারে। বার্ধক্য জনিত কারণেও কিন্তু অনেক সময় আসতে পারে সেই সমস্যা। যদি কোনও সময় চোখে এই রিং দেখতে পান তাহলে কিন্তু ফেলে রাখবেন না। হতে পারে তা কোলেস্টেরল বাড়ারই ইঙ্গিত।
কর্নিয়ার সংক্রমণ খুব সাধারণ ঘচনা। যারা লেন্স পরেন তাদের প্রায়শই এই সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে চোখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ হয় আর সেখান থেকেই কিন্তু আসে এই সমস্যা। ছত্রাকের দূষণেই কর্নিয়াতে সাদা দাগ হতে পারে, সেখান থেকেই ব্যথা হয়। যদি চোখ হলুদ হয়ে যায় তাহলে ধরে নেবেন যে আপনি জন্ডিসে ভুগছেন। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়লেই কিন্তু এই সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে প্রস্রাবও হলুদ হয়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক